PAN Card Lost Procedure : প্যান কার্ড চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে কি করবেন জেনে রাখুন

PAN Card Lost Procedure : বন্ধুরাwww.apnajobhire.inএ আরও একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত জানাই । আমরা আপনাদের সামনে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয় । আজ আপনাদের জন্য প্যান কার্ড সংক্রান্ত খবরের তথ্য নিয়ে হাজির হলাম।

আমাদের Whatsapp গ্রুপJoin Now
আমাদের Telegram গ্রুপJoin Now

বর্তমান সময়ে সমস্ত দারকারি ডকুমেণ্ট এর মধ্যে প্যান কার্ডও খুব গুরুত্বপূর্ণ এখন আমাদের এক নিত্য সঙ্গি হয়ে উঠেছে। সব রকমের আর্থিক লেনদেন করার জন্য প্যান কার্ড এর প্রয়োজন । ব্যাঙ্কের সমস্ত রকম কাজের জন্য এই প্যান কার্ডের দারকার । প্যান কার্ড ছাড়া ব্যাঙ্কের কোনরকম কাজ সম্ভব নয় । এই জন্য দেশের সমস্ত ব্যক্তির কাছে প্যান কার্ড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর যদি কোন ব্যক্তির কাছে প্যান কার্ড না থাকে তাহলে তিনি সরকার কর্তৃক নানান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন । এছাড়া আর্থিক লেনদেনের সময় অনেক সমস্যার মুখে পরতে হবে ।

এখন বেশির ভাগ মানুষের কাছেই প্যান কার্ড আছে । কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখতে পায় অনেকের প্যান কার্ড হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায় । যদি এরকম ঘটনা ঘটে কারোর সাথে সে ক্ষেত্রে কি করবেন? ডুপ্লিকেট প্যান কার্ড তৈরি করবেন নাকি আর অন্য কোন ব্যবস্থা নেবেন সেই ব্যপারেই আজকের প্রতিবেদনটি ।

আরও পড়ুন – ন্যাশানাল ডিফেন্স একাডেমিতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ

আপনার প্যান কার্ড হারিয়ে গেলে আপনি আবার প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না । আয়কর বিভাগের মতে একজন ব্যক্তির কাছে প্যান কার্ড না থাকলে তার নাম্বার থাকলেই হবে । প্যান কার্ড হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয় বার ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডেরজন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন করলে তিনি অন্য একটি প্যান কার্ড পাবেন কিন্তু প্যান কার্ডের নাম্বারটি সেই আগের নাম্বারই থাকবে। ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডেরজন্য আবেদন করতে চাইলে কিভাবে আবেদন করবেন সেই সমস্ত তথ্য নিচে দেখে নিন ।

  1. আপনি প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে টিআইএন – এনএসডিএল এ যান ।
  2. এরপর সংশোধন বা ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডের জন্য আবেদন অপশনে ক্লিক করুন ।
  3. তারপর সেখানে যে যে তথ্য গুলি প্রয়োজন সেগুলি লিপিবদ্ধ করুণ ।
  4. সব তথ্য গুলি ঠিক মত আপলোড হলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুণ ।
  5. তারপর ওখানে একটি টোকেন নাম্বার আসবে, যেটি পরবর্তীকালে ব্যবহারের জন্য আবেদনকারীর নিবন্ধিত ইমেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
  6. ওই পেজে কোন ফাঁকা জায়গা পরে থাকলে সেটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পূরণ করে দিন ।
  7. এক্ষেত্রে আপনাকে তিনটি মোড বেছে নিতে হবে প্যান অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য । সেই তিনটি মোড হচ্ছে শারীরিকভাবে আবেদনের নথি জমা দেওয়া, ই-কেওয়াইসি এবং ই-সাইনিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটালি জমা দেওয়া।
  8. এই ই-কেওয়াইসি এবং ই-সাইনের মাধ্যমে যদি জমা করেন তাহলে আপনার আধার কার্ড লাগবে । আপনি যে তথ্য গুলি দিয়েছেন সেগুলি যাচাই করার জন্য আপনার আধারে দেওয়া ফোন নাম্বারে একটি ওটিপি পাঠানো হবে । আর এরপরচূড়ান্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ফর্ম এর মধ্যে ই-সাইন করার জন্য সেখানে আপনার ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
  9. তারপর আপনার পাসপোর্ট ছবি ও স্বাক্ষর আর অন্যান্য নথি স্ক্যান করে সেই ছবি আপলোড করতে হবে ।
  10. এরপর সব নথি আপলোড করা হয়ে গেলে আপনার কাছে একটি ওটিপি আসবে । আবেদন পত্রটি প্রমানী করনের জন্য এই ওটিপি পাঠানো হবে ।
  11. তারপর সেখানে দুটি অপশন দেখাবে ফিজিক্যাল প্যান কার্ডএবং ইলেকট্রনিক প্যান কার্ড বাছায় করার জন্য । আপনাকে এই দুটির মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে । এই ই-প্যান কার্ডের জন্য একটিবৈধ ইমেল ঠিকানা প্রয়োজন পরবে । এরপর সব তথ্য দিয়ে এবং যোগাযোগ এর বিবরণ সহযোগে আপনার আবেদন পত্রটি সম্পূর্ণ ভাবে পূরণ করে সেটিকে সাবমিট করতে হবে ।
  12. আর সব কিছু হয়ে গেলে তারপর একটি পেমেন্ট পেজ এর অপশন দেখতে পাবেন । সেটিকে আবার পূরণ করতে হবে এবং তার সাথে সাথে একটি রসিদ তৈরি করা হবে । আপনার সব তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করা হলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনি প্যান কার্ডটি পেয়ে যাবেন ।
আমাদের Whatsapp গ্রুপJoin Now
আমাদের Telegram গ্রুপJoin Now

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top